কে তোমারে চিনতে পারে, কে তোমারে চিনতে পারে।
(তোমার) কার্য-কর্ম্ম রীতি-নীতি, সব চলেছে আড়েঠারে ।।
যে চিনেছে মাওলা তোরে, পাপ-পূণ্য সে কি করে,
স্বর্গ কি নরকের কথা, সব রেখেছে ফাঁকে পরে ।।
আলহামদুর প্রশংসা যত, সব তোমারী স্বত্ত্বগত।
মুহাম্মদের কিবা অর্থ, ঐ নামে ডাকিলা কারে ।।
আপনে নৈরূপ বল, কার রূপে আদম হল ।
তুমি কোথা ছিলে যখন, ছজিদা করে সবে তারে ।।
তুমি স্রষ্টা তুমি সৃষ্টি, ভাল মন্দ তোমার দৃষ্টি।
রহমান হয়েছ তুমি, শয়তান বানাইলে কারে ।।
আমি করি যত দোষ, শয়তানেরে করি রোষ ।
সৰ্ব্বশক্তিমান তুমি, শয়তানে কি করতে পারে ।।
কোরান কেতাব নবী-অলী, একা সে সবেরে ঠেলি ।
কার বলে বায়াত্তরের, সংখ্যা নিল দুরাচারে ।।
রমণীয় আঁখি ঠারে, তুমি ডাক সকলেরে ।
উভয়ের মধ্যে তুমি, ভয় দেখাছ পুনঃ কারে ।।
দুইজনে হইলে রাজি, মিলতে বলে শ’রার কাজী ।
রাজি বিনা কেবা মিলে, পুনঃ কেন দোররা মারে ।।
ধরেছ দয়াল নাম, পুরাও সবের মনস্কাম ।
কেমন দয়াল তুমি, এত দুঃখ দেও আমারে।।
ছল্ চাতুরীর পর্দা খুলে, করিমেরে লওনা তুলে।
ত্রিজগত ঘুরে আসি, ধরছি তোমায় মাইজভাণ্ডারে ।।