হে প্রাণনাথ তব পরে শেষ বুঝি মনোহরী।
তব আঁখি টার লাজে পলায়েন্ত বিদ্যাধারী।।
তোমার আঁখির ঠারে, মন প্রাণে যাদু করে।
শিখাইয়াছে কে তোমারে, এই মত জাদুকরী।।
তব গুণ বর্ণিবারে, বিধি শক্তি দিছে কারে।
তব রূপ জ্যোত যত ভবে আছে রূপধারী।।
কাহাকে কৈরাছে বিধি, তোমা হেন প্রেম নিধি।
ঠন ঠমক তোমা সাজে, তোমা যোগ্য মনোহরী।।
রূপের ভুবনে যত, অপরূপ রূপবন্ত।
সকল ললাটে রেখা তুমি কান্তের কিঙ্করী।।
প্রেমের ভুবন মাঝে, রাজত্ব তোমার সাজে।
তব প্রেম ঢংকা বাজে, তোমার রাজ বাহাদুরী।।
ত্রিলক্ষ ভুবন বিছে, কার হেন শক্তি আছে।
করিবারে আজু তোমার সাক্ষাতে সমশ্বরী।।
আজু রূপাকাশ পরে, দিবাকরে শশধরে।
তোমা রূপেশ্বর বৈলে ভজে সদা ভক্তি করি।।
স্বর্গ দেব রূহুলাঁমী আকাশ পাতালে ভ্রমি।
দেখি এল দেবপুরী, দেখি এল হুরপরী।।
কিন্তু তব অপরূপ, রূপ দেখি হৈল চুপ।
বলে তমা সাজে আজু, রূপ ভবে রূপেশ্বরী।।
প্রাণ সখা মাইজভাণ্ডারী, এ মকবুল প্রেম ভিখারী।
দ্বারে দাঁড়াইয়াছে তব ভিক্ষা দান আশা করি।।