আমি যার ভাবে দিওয়ানা, আমি যার মদে মাস্তানা।
অহরহ চিত্ত জ্বলে তাঁর তাড়না।। (ধুয়া)
দুঃখ ভারি আমি কারে বলি,
আঁখি ঠারে মন হৈরে শ্যাম গেল চলি।
এসব আশা দিয়ে আমা পুনঃ সে আর এলনা।।
জল আনিতে যেইতে যমুনা,
শ্যাম বন্ধের জল খেলা উঠিল ভাবনা।
কহে মনে সেই ক্ষণে ঝাম্প দে সে যমুনা।।
সন্ধ্যা যবে রান্ধিবারে বসি,
শ্যামে মোরে ঘোর ঠারে ডাকে ফুঁকি বাঁশি।
ধুমাছলে কাঁদি খুলে প্রাণে ধৈর্য মানে না।।
নিশি যবে শুই শয্যা পরে,
পুনঃ ঠারে বংশী স্বরে ডাকিল আমারে।
হিয়া ফেটে যায়ে তবে ঘরে রৈতে পারি না।।
চল এবে অহে সখী কুল,
শ্যাম বন্ধের ভাবে ত্যাজি, জাতি মান কুল।
বৈরাগিনী হৈ রাগিনী গাহি শ্যামের সূচনা।।
দেখি শ্যামেরে কোথা পাই,
সেতার কিন্নর বাজাই ভ্রমি ঠাঁই ঠাঁই।
ডালে ডালে অন্বেষিব লিঙ্ককল ঘোষণা।।
সত্য বলে মকবুল অজ্ঞান,
অন্বেষিয়া পেতে না’রে তাঁরে কোন স্থান।
সদা ছলে সঙ্গে খেলে প্রেম রসিক মাওলানা।।