ভাবের সাগরে উঠেছে তরঙ্গ জগৎ ভাসিয়ে যায় রে,
এ মহিমণ্ডল কার লীলাভূমি কেবা এ পুতুল খেলায় রে।
ভব অভিনয়ের কেবা অভিনেতা, কে বুঝিতে পারে তার চতুরতা,
রূপান্তরে থেকে রূপের মাধুরী সতত দেখায়ে যায় রে।
আকাশ-পাতাল সুর শশী, তারা সুশৃঙ্খলভাবে কে করেছে খাড়া;
কার শিল্পকলা জগৎ উজালা দেখিতে কি শোভা পায় রে।
নৈরাকার নাথ সাকারে আসিয়া, বিভিন্ন বরণে আত্ম প্রকাশিয়া;
মানব হৃদয়ে আসন পাতিয়া জগতের দৃশ্য চায় রে।
ভাই বন্ধু যারা আত্মীয় স্বজন, ভেবে দেখ তারা কেবা কার কোন;
পথিকে পথিকে পথের আলাপনে বিফলে জীবন যায় রে।
কেউ করে পাপ কেউবা করে পুণ্য, ভাবনার ফল শেষের ঘরে শূন্য;
সাধনার পথে অগ্রগামী হলে, মুক্তির সন্ধান পায় রে।
চারিবেদ হাতে ব্রহ্মরূপধারী, জ্ঞান বিলাইতে বাবা মাইজভাণ্ডারী;
চিরশান্তি পথে ডেকেছে তোদেরে দেখিতে কে যাবি আয় রে।
নবীজির সত্য প্রতিনিধি হয়ে, কুরআনের সার প্রেম দীক্ষা লয়ে;
মোজাদ্দেদ রূপে ধর্ম-সংস্কার জগতে করিয়ে যায় রে।
বেবুঝা আলেম ধর্মগুরু রূপে ফেলেছে তোদেরে চির অন্ধ কূপে;
জ্ঞানের আলোক জ্বালাইছে ভাণ্ডারী করিমে রাগিনী গায় রে।