সত্তা সুবর্তনপুরে ছিল সত্তারাজ।
আপে একেশ্বর কিন্তু বিপুল সমাজ।।
স্বীয় সত্ত্ব গুণে নির্মি বিবিধ দর্পণ।
অহরহ হেরে আপ্ত বিমল বদন।।
নিজ গুণে সে চতুর কেমন প্রচুর।
যার সত্ত্ব গুণ ছবি এসব মুকুর।।
গুণ চিত্র করিয়ে সে এসব দর্পণ।
রাখিলা তাঁহার নাম ত্রিলক্ষ ভুবন।।
ভুবন কাহারে বলে মানব আঁকার।
যার পট ছিট এই সয়াল সংসার।।
জ্ঞানহীনে কি করিব মানব বর্ণন।
মানব আঁকার মাত্র উত্তম দর্পণ।।
জ্ঞানার্ণবে তরঙ্গিয়ে সেই মহারাজ।
জ্ঞান আর্শি করি নরে করিলে বিরাজ।।
মানবের প্রতি অঙ্গ বটে জ্ঞান কৃত।
সেই জ্ঞান গুণে নর সতত অমৃত।।
জ্ঞানের সাগর মাত্র মানব আঁকার।
কোরান নামেতে যাহা জগতে প্রচার।।
স্বর্গয়ে স্বর্গয়ে তাহে কৈরাছে বর্ণন।
সেই স্বর্গ পাঠে স্বর্গে করিতে গমন।।
স্বর্গ কারে বলে মহারাজার দর্শন।
যার রূপে সুশোভিত মানব দর্পণ।।
ছয় দিনে এ দর্পণ হইল নির্মিত।
সপ্তমেতে মহারাজ তাতে বিরাজিত।।
তার সপ্ত অঙ্গ মাত্র কোরানের স্বর্গ।
যার মর্ম পাঠে পায়ে নরে সপ্ত স্বর্গ।।
এই সপ্ত স্বর্গ পাঠ যে করিল শেষ।
রাজার দর্শন স্বর্গে করিল প্রবেশ।।
কোরানের সপ্ত স্বর্গ বটে তিনোধ্যায়।
তেকারণে তিন পাঠ্যে পড়য়ে তাহায়।।
মাতা-পিতা সংমিলনে তনয় জন্মন।
তেহি সে কারণে হৈল ত্রিলক্ষ ভুবন।।
সেই তিন পাঠ্য হয়ে রাজার ত্রিপাঠ।
গুণীগণে বলে যারে ত্রিবেণীর ঘাট।।
যেই ঘাট স্নানে সদা বাড়ে পবিত্রতা।
যথা অন্ধকারে নিত্য পায়ে প্রসন্নতা।।
যেই ঘাট স্নানে জ্ঞান দীপ্তি প্রজ্জ্বলিত।
যেই ঘাট স্নানে হয়ে জীবন স্থায়ীত্ব।।
যেই ঘাট স্নানে হয়ে সাধু সিদ্ধ অঙ্গ।
যেই ঘাট স্নানে পায়ে মহারাজ রঙ্গ।।
যেই ঘাট স্নানে হয়ে পাপে পুণ্যবান।
যেই ঘাট স্নানে পায়ে স্বর্গের উদ্যান।।
আপ্ত ছবি দর্পণের পাঠে ছেকান্দার।
দ্বারার সমস্ত রাজ্যে হৈল রাজেশ্বর।।
ছেকান্দরী আর্শি যার হইল উজ্জ্বল।
দ্বারার রাজত্বোবস্থা হেরয়ে নির্মল।।
ভব বিদ্যালয়ে আপ্ত পাঠের ত্রিপাঠ।
দ্বিপ্রকার প্রেমরীতে করে সদা পাঠ।।
ভাগ্য রবি যে শিষ্যের উদে ললাটেতে।
পড়য়ে প্রথম পাঠ্য নিম প্রেমরীতে।।
দ্বিতীয় তৃতীয় উচ্চ প্রেমরীতে পাঠ।
পড়িয়ে সাজায়ে আপ্ত রাজত্বের পাট।।
নিম্ন প্রেমে কারে বলে এই ভব প্রীতি।
যে কারণে নরকেতে হয়ে নরগতি।।
উচ্চ প্রেম বটে মহারাজ ভালবাসা।
যেহেতুয়ে হবে স্বর্গ দরশন আশা।।
নিম্ন প্রেমরীত বুঝ শব্দ সমতুল।
উচ্চ প্রেমরীত তার বটে অর্থ মূল।।
মকবুল অজ্ঞানে বলে চল বিদ্যালয়।
দু’কূল রাজত্ব বিদ্যা করিবেক জয়।।
সত্তা সুবর্তনপুরে ছিল সত্তারাজ
সত্তা সুবর্তনপুরে ছিল সত্তারাজ। আপে একেশ্বর কিন্তু বিপুল সমাজ।। স্বীয় সত্ত্ব গুণে নির্মি বিবিধ দর্পণ। অহরহ হেরে আপ্ত বিমল বদন।। নিজ গুণে সে চতুর কেমন প্রচুর। যার সত্ত্ব গুণ ছবি এসব মুকুর।। গুণ চিত্র করিয়ে সে এসব দর্পণ। রাখিলা তাঁহার নাম ত্রিলক্ষ ভুবন।। ভুবন কাহারে বলে মানব আঁকার। যার পট ছিট এই সয়াল সংসার।। জ্ঞানহীনে […]