লীলাময়! কার সাধ্য বুঝতে পারে তোমার লীলা,
নৈরূপ নগরে থাক বহুরূপে করছ খেলা।।
রূপের বাজার রূপের হাট,
রূপের নাট্য রূপের নট,
রূপের আখ্যা রূপের ব্যাখ্যা রূপেতে জগত উজালা।।
জগতের রূপাধিক্য,
তোমারি অস্তিত্বের সাক্ষ্য,
এক স্বামী গোপনে ছিলা, নানা রঙ্গে প্রকাশিলা।।
শেষে প্রেম মঞ্চে আসি,
ঘোমটার আড়ে মুচকি হাসি,
নায়ক-নায়িকা রূপে কত স্মৃতি জাগাইলা।।
করিয়ে দর্শন দান,
কারে করো শান্ত প্রাণ,
দারুণ বিচ্ছেদের বাণে কতজনে সংহারিলা।।
বারেকে হও রাধা কাণু,
যুগান্তরে লায়লা মজনু,
প্রেমরঙ্গে প্রেমতরঙ্গে জগতকে ভাসাইলা।।
নবীজীর পবিত্র বাণী,
ফর্মাইলেন ‘মানরাআনী ‘,
বুঝিলাম ইঙ্গিতে তুমি আসল কথা জানাইলা।।
সে মর্মের সার নিয়ে,
যুগে যুগে রং দেখায়ে,
বোগদাদ আজমীর হয়ে মাইজভাণ্ডারে দেখা দিলা।।
দু’জাহানের কেবলা কাবা,
গাউসুল আজম মাওলা বাবা,
জগত ত্বরালে, বল করিমেরে কি করিলা।।