ইতস্ততঃ যত ইতি সংসার

ইতস্ততঃ যত ইতি সংসার মাঝার। বিনা নামে পরিচয় অক্ষম তাহার।। আপ্ত পরিচয় জন্য সৃজিলা সংসার। যার পরিচয়ে তত্ত্ব পাইবে তোমার।। অনন্ত অসীম নাম করিয়ে স্থাপন। আপ্ত পরিচয় জন্য করিলা কারণ।। গুপ্তে ব্যক্তে যত ইতি জগৎ মাঝার। তব পরিচয় হেতু প্রমাণ সুসার।। কিন্তু সর্ব নাম মোট করি নরাকার। সত্য পরিচয় তাতে দিলা আপনার।। সর্ব নাম হৈতে […]

ইতস্ততঃ যত ইতি সংসার মাঝার।
বিনা নামে পরিচয় অক্ষম তাহার।।
আপ্ত পরিচয় জন্য সৃজিলা সংসার।
যার পরিচয়ে তত্ত্ব পাইবে তোমার।।
অনন্ত অসীম নাম করিয়ে স্থাপন।
আপ্ত পরিচয় জন্য করিলা কারণ।।
গুপ্তে ব্যক্তে যত ইতি জগৎ মাঝার।
তব পরিচয় হেতু প্রমাণ সুসার।।
কিন্তু সর্ব নাম মোট করি নরাকার।
সত্য পরিচয় তাতে দিলা আপনার।।
সর্ব নাম হৈতে নর মহৎ প্রধান।
মানব আঁকার মাত্র উত্তম প্রমাণ।।
লা-এলাহা ইল্লাল্লাহু ধর্ম কলমা সার।
প্রভুর একতা যার অর্থের বিচার।।
যার অর্থ বুঝাইতে এলো নবী কুল।
যার অর্থ মাত্র হয়ে সর্ব শাস্ত্র মূল।।
যার অর্থ ব্যাখ্যা জন্য এলো দেববাণী।
যার অর্থ না সাধিলে দুই কূলে হানি।।
বৃক্ষ পবিত্র উপমা বলয়ে কোরাণে।
একিনের বৃক্ষ যারে বলে দেবগণে।।
তুবা বৃক্ষ যার নাম বটে স্বর্গপুরে।
যার ফল ফুলে সুখী স্বর্গের ভিতরে।।
এই বৃক্ষ গুপ্তে ব্যক্তে সর্বসৃষ্টি মূল।
সৃষ্টি আদি যত তাঁর শাখা পত্র তুল।।
ত্রিভুবন শব্দ তুল কলমা তার অর্থ।
অর্থ বিনে মাত্র শব্দ না হইবে স্বার্থ।।
নিরাঞ্জন সর্বনামে কলমাই প্রধান।
যার লক্ষে হয়ে তাঁর পরিচয় প্রমাণ।।
সেই কলমা বটে ভবে মানব আঁকার।
যার পরিচয়ে পরিচিত করতার।।
ত্রিভুবন মোট বটে মনুষ্য আঁকার।
বিন্দু মাঝে খেলে যেন সমুদ্র অপার।।
তেহি সে কারণে বুঝি মহাগুণীগণ।
বঙ্গভাষে মনুষ্যকে বলয়ে ভুবন।।
প্রভু সার মর্ম মাত্র মনুষ্য আঁকার।
যার লক্ষে প্রকাশিলা একতা তাঁহার।।
তেকারণে আলেফের বেশে তাঁর চিত্র।
আঁকিয়া করিলা ভবে তাহারে পবিত্র।।
ভবে যত ইতি বটে সংখ্যা মাত্র সার।
এক বিনে কোন সংখ্যা না হয়ে প্রচার।।
ইঙ্গিতে মকবুলে বলে সংক্ষিপ্ত বচন।
একাক্ষরে বিস্তারিত বুঝে গুণীগণ।।

লেখক: আবদুল গণি কাঞ্চনপুরী

error:

ইতস্ততঃ যত ইতি সংসার