রবি শশী তারক এ আকাশ

রবি শশী তারক এ আকাশ মণ্ডলে। অহরহ দীপ্তিমান যে মত উজ্জ্বলে।। দেহের গগনে তেন এ সব উদিত। হৈয়ে তাহে করিয়াছে সদা আলোকিত।। প্রাণ যেন দিবাকর মন শশধর। অঙ্গ শক্তি আদি যেন নক্ষত্র সুন্দর।। মন কর্ণ দিয়ে এবে করহ শ্রবণ। সংক্ষিপ্ত দৃষ্টান্তে অল্প করিনু বর্ণন।। সপ্ত খানী খিড়কী থাকে যেই নিকেতনে। নিশীতে প্রদীপ যদি জ্বালে সেই […]

রবি শশী তারক এ আকাশ মণ্ডলে।
অহরহ দীপ্তিমান যে মত উজ্জ্বলে।।
দেহের গগনে তেন এ সব উদিত।
হৈয়ে তাহে করিয়াছে সদা আলোকিত।।
প্রাণ যেন দিবাকর মন শশধর।
অঙ্গ শক্তি আদি যেন নক্ষত্র সুন্দর।।
মন কর্ণ দিয়ে এবে করহ শ্রবণ।
সংক্ষিপ্ত দৃষ্টান্তে অল্প করিনু বর্ণন।।
সপ্ত খানী খিড়কী থাকে যেই নিকেতনে।
নিশীতে প্রদীপ যদি জ্বালে সেই স্থানে।।
তখনান্ধকার গৃহ হয়ে আলোকিত।
প্রতি খিড়কী হৈতে জ্যোতি হয়ে প্রকাশিত।।
তেন এই দেহ বাসে প্রাণ দীপ্ত প্রায়।

অহরহ জ্যোতিময় কৈরাছে সদায়।।
সপ্ত অঙ্গ থাকি জ্যোতি হৈতেছে প্রকাশ।
যার যেন বাঞ্ছা তেন পুরিতেছে আশ।।
চক্ষু মাঝে নিরীক্ষণ কর্ণেতে শ্রবণ।
নাসিকাতে বায়ু শক্তি করেতে ধরণ।।
রসনাতে পান শক্তি প্রাণ দীপ জ্যোতি।
এই মতে বুঝ সবে আপ্ত দেহ গতি।।
সমুদ্র মাঝারে হয়ে জোয়ারে হিল্লোল।
নদা নদী যত হয়ে তরঙ্গে সজল।।
ভাটার সময়ে শুঁকে নালা নদী বিল।
অন্বেষিলে সেই সমে না পায়ে সলিল।।
শিশু কেনে যুবা হয়ে যুবা পরাচীন।
আপ্ত দেহে বিচারিয়ে লও তাঁর চিন।।
মকবুল অধীনে বলে প্রেমে রঙ্গে রঙ্গে।
সহস্র জীবন মৃত্যু খেলে সঙ্গে সঙ্গে।।

লেখক: আবদুল গণি কাঞ্চনপুরী

error:

রবি শশী তারক এ আকাশ