এই পাঠে ইচ্ছা বাঞ্চা কিবা মনস্তাপ।
রূপ গুণ ধর্ম কর্ম কিবা পুণ্য পাপ।।
কিছুমাত্র না রহিল হৈল বিনাশ।
আপন হৈত আপে হৈলেক হ্রাস।।
প্রেমের প্রলয় সম হৈল উপস্থিত।
যত ইতি সমুদয় হৈল রহিত।।
ব্যক্ত উদয় হৈল প্রলয় তপন।
প্রকাশ হৈল যত ব্যক্ত গোপন।।
সমস্তে সমস্ত হৈল তবে বিরাজিত।
গুপ্ত ব্যক্তি কিছু মাত্র না রৈল লুকিত।।
প্রতি বিন্দু চিত্তে পেল কোটি কোটি সিন্ধু।
সলিল মাঝারে যেন ঝলকয়ে ইন্দু।।
প্রবেশিয়ে সত্তাপুরে সত্তরাজ সঙ্গে।
একাকার হৈয়ে খেলে নিত্য প্রেমরঙ্গে।।
তার রঙ্গে সদায় সর্বদা সুরঞ্জিত।
দু’জনা না হবে আর কভু বিয়োগিত।।
চিন সিংহাসনে বৈসে হৈয়ে চিনরাজ।
একেশ্বর কিন্তু সদা অনেক সমাজ।।
স্বর্গ রম্ভা দেব দল কিবা স্বর্গপতি।
সকলে মানয়ে তবে সদা অনুগতি।।
অধীনতা ঘুঁচি গেল হৈল স্বাধীন।
সদা শুধরাণী আর না হবে মলিন।।
এই ভবে নাই যবে পাঠ পড়া শেষ।
আপ্তপাঠ আমি আর কি লিখি বিশেষ।।
তেরশত বিংশ বঙ্গাব্দেতে সোমবারে।
দশ কার্তিকেতে বেলা প্রথম প্রহরে।।
তিনশত চৌরাশি ছন্দেতে সুসংক্ষিপ্ত।
আপ্তপাঠের ত্রিপাঠ হৈল সমাপ্ত।।
এই পাঠে ইচ্ছা বাঞ্চা
এই পাঠে ইচ্ছা বাঞ্চা কিবা মনস্তাপ। রূপ গুণ ধর্ম কর্ম কিবা পুণ্য পাপ।। কিছুমাত্র না রহিল হৈল বিনাশ। আপন হৈত আপে হৈলেক হ্রাস।। প্রেমের প্রলয় সম হৈল উপস্থিত। যত ইতি সমুদয় হৈল রহিত।। ব্যক্ত উদয় হৈল প্রলয় তপন। প্রকাশ হৈল যত ব্যক্ত গোপন।। সমস্তে সমস্ত হৈল তবে বিরাজিত। গুপ্ত ব্যক্তি কিছু মাত্র না রৈল লুকিত।। […]