প্রভু কৃপা কি বর্ণিব, কৃপা কাব্য কি রচিব, বর্ণিলে সে না যায়ে বর্ণন।
গাউসে আজম যিনি, সর্বকার শিরোমণি,
সৃষ্টি দলে তিনি প্রাণ ধন।।
রসিকের নেত্রমণি, প্রেমাকাশে দিনমণি,
যার জ্যোতে ভব আলোকিত।
উদিতে সে দিবাকর, তারকা কি শশধর,
যত ছিল হৈল লুকিত।।
নিরাঞ্জন জ্ঞানুদ্যানে, তত্ত্বে গুণী অলিগণে,
না পাইলে সুপুস্প এমন।
সৌরভ পেয়ে তাহান, উদাসময় ভুবন,
ধৈর্য ধরয়ে কার মন।।
মধুপ বুলবুল যত, মধুরাশায়ে মোহিত,
চারিদিকে সুরবে ভ্রময়।
অলিগণ পরিতোষ, কীট আদি মনেরোষ,
মধুকোষ অতি উচ্চময়।।
অলিকুল মধু পানে, পরিমল মন প্রাণে,
সর্বত্রে সর্বদা পুলকিত।
দিবা নিশি দীপ্তিমান, যেন ভবে স্বর্গ স্থান,
দেব দল চৌদিকে বেষ্টিত।।
অনন্ত প্রশংসা যার, করিলে প্রশংসা তাঁর,
নিন্দা হবে গুণীর নিকট।
তেকারণে আপ্ত কাব্য, ভাবি মনেতে কর্তব্য,
স্বীয় গল্প করিনু প্রকট।।
মকবুল অধীনে বলে, নিরীক্ষিয়ে সে নির্মলে,
সাফল্য হৈল দু’নয়ন।
পুনঃ পদ ছবি প্রায়ে, মিশিতে পারিলে পায়ে,
সুলভ্য হৈবে এ জীবন।।