শূন্যপুরে ছিল মম উৎপন্নের স্থান।
রাজত্ব বিহীনে মহারাজ পূজ্যমান।।
একাময় মাত্র মম না ছিল দোসর।
পাত্র মিত্র না আছিল নহে সহচর।।
না আছিল রূপ গুণ না আছিল নাম।
সর্বদা বিশ্রাম ছিল না আছিল ঠাম।।
দুঃখ সুখ না আছিল নহে জয় ক্ষয়।
না আছিল কার আশা না আছিল ভয়।।
ক্রমে ক্রমে বিশ্রামি বিশ্রামি ছয় দিনে।
শুভ জ্ঞান লাভ জন্য এনু এই স্থানে।।
প্রথমাপ রূপমদে হৈয়ে উৎসব।
ধারিনু আপন নাম প্রেমের আর্ণব।।
দ্বিতীয় দিনেতে করি গুণ নিরক্ষণ।
রাখিনু আপন নাম গুণ মহাজন।।
তৃতীয়েতে করি সেই গুণাদি বিচার।
রাখিনু নিজের নাম মহা গুণধার।।
চতুর্থে সেগুণ বলে হইয়ে জীবন।
প্রকাশিনু স্বীয় নাম জীবন ভুবন।।
পঞ্চমেতে ধারি আপে বিবিধ আঁকার।
ভবের সাগর নাম করিনু প্রচার।।
ষষ্ঠমেতে হই আপে সর্বকার মোট।
স্বীয় নাম প্রকাশিনু নর ছবি কোট।।
হেরিতে আপন আপে হৈল মন খেদ।
নিরক্ষিয়ে নিজ রূপে হৈয়াছি বিচ্ছেদ।।
বিরহ বিষম জ্বালা আহা কি কঠিন।
স্বাধীনতা হারাইয়া হৈয়াছি অধিন।।
ছয় ছিদ্র বক্ষ যদি পাই বাঁশি প্রায়।
তবে বুঝাইতে পারি বিরহ কি দায়।।
আপন হারাই আপে হইনু উদাস।
এ বিরহ রোগে কত কৈরাছে বিনাশ।।
শূন্যপুরে ছিল মম
শূন্যপুরে ছিল মম উৎপন্নের স্থান। রাজত্ব বিহীনে মহারাজ পূজ্যমান।। একাময় মাত্র মম না ছিল দোসর। পাত্র মিত্র না আছিল নহে সহচর।। না আছিল রূপ গুণ না আছিল নাম। সর্বদা বিশ্রাম ছিল না আছিল ঠাম।। দুঃখ সুখ না আছিল নহে জয় ক্ষয়। না আছিল কার আশা না আছিল ভয়।। ক্রমে ক্রমে বিশ্রামি বিশ্রামি ছয় দিনে। শুভ […]