বায়ু মাটি জলানল ধরণী

বায়ু মাটি জলানল ধরণী আকাশ। মানব আঁকারে সব আছয়ে প্রকাশ।। বায়ু মাটি জলানল করিয়ে মিশ্রিত। এই বিলক্ষণ চিত্র করিছে নির্মিত।। তেকারণে হৈল ছবি মাটির ভুবন। ছবি বিনে যত ইতি গগণ তুলন।। কিঞ্চিত বর্ণনা তাঁর করহ শ্রবণ। ইঙ্গিতে বলিনু স্মরি গুরু চরণ।। এই ভবে ছোট বড় সকল জ্ঞাপিত। ব্যক্ত গুপ্ত দুই আছয়ে চরিত।। ব্যক্ত বলয়ে কারে […]

বায়ু মাটি জলানল ধরণী আকাশ।
মানব আঁকারে সব আছয়ে প্রকাশ।।
বায়ু মাটি জলানল করিয়ে মিশ্রিত।
এই বিলক্ষণ চিত্র করিছে নির্মিত।।
তেকারণে হৈল ছবি মাটির ভুবন।
ছবি বিনে যত ইতি গগণ তুলন।।
কিঞ্চিত বর্ণনা তাঁর করহ শ্রবণ।
ইঙ্গিতে বলিনু স্মরি গুরু চরণ।।
এই ভবে ছোট বড় সকল জ্ঞাপিত।
ব্যক্ত গুপ্ত দুই আছয়ে চরিত।।
ব্যক্ত বলয়ে কারে যাহা দেখা যায়।
নাছুত বলয়ে তাহে আরবী ভাষায়।।
মানব আকৃতি যাহা মাটির নির্মিত।
নাছুতী বলিয়ে তাহে করয়ে নিশ্চিত।।
আর যত ব্যক্ত কার্য ধর্মের মাঝার।
নাছুতী বলিয়ে তাহে করয়ে প্রচার।।
গুপ্ত কারে বলে যাহা দেখিতে না পায়।
প্রাণ স্থান স্বর্গপুর বলয়ে তাহায়।।
স্বর্গপুর সপ্ত দলে বিভক্ত আছয়ে।
সপ্তরূপে প্রিয়া সনে তাহাতে দর্শয়ে।।
প্রথম মানব স্বর্গ অঙ্গ আদি শক্তি।
প্রতি শক্তি মতে তাতে আছে এক ভক্তি।।
দ্বিতীয় স্বর্গকে তাঁর জীব আত্মা বলে।
যাহার কারণে নর সদা হেলে দোলে।।
তৃতীয় স্বর্গকে মন করয়ে ঘোষণ।
চতুর্থ স্বর্গকে জ্ঞান সকলে বলন।।
পঞ্চম স্বর্গকে মন মরম বলয়ে।
ষষ্ঠম স্বর্গকে প্রাণ ঘোষণা করয়ে।।
সপ্তম স্বর্গের নাম বলে প্রাণ মর্ম।
আপ্ত দেহে তত্ত্ব লিবে কার কিবা কর্ম।।
এই সপ্ত স্বর্গধীক এক স্বর্গ ধাম।
প্রিয়ার দর্শন বটে সেই মনষ্কাম।।
কায়া লক্ষে কার্য যত নরক তুলন।
প্রাণধন কর্ম যত স্বর্গের মতন।।
কায়া ত্যাজি প্রাণ ভবে করিলে নিবেশ।
প্রবেশিবে এ জীবনে অই স্বর্গ দেশ।।
সমাধি করিয়ে কায়া যে করে বর্জন।
এ জীবনে স্বর্গপুরে করিবে দর্শন।।

লেখক: আবদুল গণি কাঞ্চনপুরী

error:

বায়ু মাটি জলানল ধরণী