উপমা তোমার কেউ দেখেনি কখন,
তোমারি মত কেউ হয়নি সৃজন,
সম্রাট-মুকুট তব শিরে তো শোভে,
দোজাহানে তুমিই তো এমনি রাজন ॥
সাগর উচ্ছাসে আর ঢেউ বে-সামাল,
অসহায় আমি, ঝড় কী যে ভয়াল!
মাঝ দরিয়ায় আমি হাওয়া যে মাতাল,
মম কান্ডারী তরী পার করো হে এখন ॥
হে সূর্য দেখেছ রাত্রি আমার,
মদিনায় গিয়ে নিবেদিও এ ব্যাপার,
তব কিরণ জ্যোতি কাটে ভবের আধাঁর,
মম রাত্রি কাটেনা বিরহ মগন ॥
সুন্দরতম মুখে পূর্ণ যে চাঁদ,
দাগ আছে যেন তায় যুলফের ও বাঁধ,
তব চাঁদ মূখে যুলফও সে মায়ারই অগাধ,
বর্ষে যে করুণাধারা বর্ষণ ॥
তৃষ্ণার্ত আমি তব দান যে অপার,
পূত কেশদামে মেঘ আছে তো দয়ার,
ঝরে রিমঝিম রিমঝিম ধারা করুণার,
দুটি বিন্দু এদিকে হোক না পতন ॥
থামো আরো কিছুক্ষণ কাফেলা মোর,
দয়া করো, কাটুক মম তৃষ্ণার ঘোরে,
কাঁপে কলজে সে ধুকধুক ভয়ে দূরু দূর,
তায়বাতে তবে কি করলো শ্রবণ ॥
হায় কেটে যায় সংক্ষিপ্ত প্রহর,
মদীনাতে কাটে যা চরণে বিভোর,
যবে স্মরণে আসে সেই রূপ মনোহর,
ব্যথা জাগে মদীনায় যেতে এখন ॥
হতচিত্ত মম, জ্বালা অবিরত;
মন ও প্রাণ জ্বলে তায় তিক্ত ক্ষত,
পথ এমনি বিপথে খুঁজব কত,
তুমি ছাড়া বিজনে কে আছে স্বজন ॥
নিবেদিত এ প্রাণ, বাড়ে প্রেমের অনল
প্রেম শিখা হৃদয়ে, এমনি ধকল,
মম তনুমন ধন সঁপে দিয়েছি সকল,
প্রিয় নবী ছাড়া নাহি বাঁচে এ জীবন ॥
দাও ক্ষান্ত কলম হে রেযা তোমার ,
না নিয়ম জানি, না যোগ্য যে তার,
পীড়াপীড়ি সাথীদের ছিল অপার,
অসহায়ের এ পথে তাই তো চলন ॥