কে তুমি হে সখা, আড়ালে থাকিয়ে, হরিলে আমারি প্রাণ।
ছলনা কৌশলে, জগৎ মজালে, এমন মোহিনী জান ॥
রূপ মনোহর, নৈরূপ বরণ, নৈরূপে পড়িয়ে রূপে আবরণ ।
বহুরূপী রূপে, নিত্য নব সাজে, দেখাও রূপেরি শান ॥
সৃষ্টির আড়ালে, গোপনে বসিয়া, বিদ্যুতে খেলেছ অভিনব ক্রিয়া।
জ্ঞানীগণে তোমার চাতুর্য্য দেখিয়া হারায়ে বসেছে জ্ঞান ॥
মানব হৃদয়ে বাসস্থান রাখ, নর দৃষ্টি হতে বহুদূরে থাক ।
চিনিতে না পারে তাই তোমায় করে, অসংখ্য রূপেতে ধ্যান ॥
সূর্য্যের কিরণে, চন্দ্রের আলোকে, নক্ষত্রের ঝলকে পুষ্পের ছটকে ।
জ্ঞান চক্ষে হেরি, গাহে কবিকুল, তোমারী মহিমা গান ॥
অঙ্গনার অঙ্গে, স্তন্যদ্বয় রঙ্গে, মধুর হাসিতে কটাক্ষেরি ভঙ্গে।
এ বিশ্ববাসীরে, আকুল করিলে, হানিয়ে মদন বান ॥
যুগে যুগে তুমি বিভিন্ন প্রদেশে, নবী অলী নামে মুনী ঋষি বেশে।
ঘোর অন্ধকার হতে মানবীকে, আলোকে টানিয়া আন ॥
তুর পেলেস্টাইন, দামেস্ক-মিশরে, মহাসমারোহে মদিনা নগরে ।
বাগদাদ আজমিরে পেয়েছি তোমার, অপার করুণা দান ॥
মাইজভাণ্ডার সিংহাসন, অলঙ্কৃত করেছ দেখিয়ে হয়ে আনন্দিত।
প্রশংসা কীৰ্ত্তন করিছে করিম, সুরেতে মিলায়ে তান ॥