আমার মরণ কালে ঢোল বেলা বাজাইও

আমার মরণ কালে ঢোল বেলা বাজাইও দরবারীগণ রে। কলেমা কালাম ভাই, কিছুই দরকার নাই,গাওছ ধনের গুণগীতি গাইও ৷৷ শমনে হরিতে প্রাণ, মাওলা ধনের গুপ্তদান ।ইছমে আজম পড়িয়া শুনাইও ॥ কবরে শোয়াবে যবে, তরিকতের ভাই সবে।হাল্কা রবে করবল্লা দেখাইও ॥ বাবধনের পুত্র হলে ঝুটা ফকির না হইলে,এসব কথা হেলা না করিও ॥ আমি হই ছোলতানের বেটা, […]

আমার মরণ কালে ঢোল বেলা বাজাইও দরবারীগণ রে।

কলেমা কালাম ভাই, কিছুই দরকার নাই,
গাওছ ধনের গুণগীতি গাইও ৷৷

শমনে হরিতে প্রাণ, মাওলা ধনের গুপ্তদান ।
ইছমে আজম পড়িয়া শুনাইও ॥

কবরে শোয়াবে যবে, তরিকতের ভাই সবে।
হাল্কা রবে করবল্লা দেখাইও ॥

বাবধনের পুত্র হলে ঝুটা ফকির না হইলে,
এসব কথা হেলা না করিও ॥

আমি হই ছোলতানের বেটা, ধরিও ছোলতানী বাওটা,
কুত্তা মরা মোরে না গাড়ীও ॥

শরিয়তের পাগলগণে, বহু কষ্ট এ জীবনে,
দিয়াছে আর সে সব না শুনিও ৷

আমার অছিয়ত পালনে, যেই বেবুঝা বাধা আনে,
মালীর ঝাঁটা তার মুখে মারিও ॥

আলেমরূপী জাহেল দলে, শরিয়তের তর্ক নিলে,
আমার পক্ষে এই কথা বলিও ॥

আমি বাবার প্রেমের মরা, প্রেমাগুনে জ্বলে সাড়া,
ভাল মানুষ এথা না থাকিও ॥

তবু যদি বাধা ধরে, তীক্ষ্ণ ছুরি লয়ে করে,
দু’চার জনা শহিদ হয়ে যাইও ॥

ভাই তোমাদের পায়ে পড়ি, মওলা ধনের দোহাই ধরি,
আমার কথা ভুলিয়া না যাইও ॥

বাপ ডাকিলাম, ভাই ডাকিলাম, মওলাধনের দোহাই দিলাম,
করিমকে এইভাবে চালাইও ॥

লেখক: বজলুল করিম মন্দাকিনী

আমার মরণ কালে ঢোল বেলা বাজাইও