আদমকে না বল খোদা, আদম কেনে খোদা হয়।
আদমজাদা আদম হলে, খোদার থেকে জুদা নয়।
মুর্শিদের তাওয়াজজু পেলে, আদমজাদা আদম হলে,
আদমের সুরতে বসি, খোদার মুখে কথা কয় ॥
খোদার আদেশ ধরে, ফেরেস্তারা সেজদা করে।
আদমের সু-পুত্র হলে, সাধারণের সেজদা লয় ॥
মা আরফানা বলে নবী, জানাইয়াছেন খোদার খুবি ।
আদমের পরিচয় দিতে, মান্ রা’আনী কেন কয়
আবদুল আজিজ শাহা, তফসীরে লিখেছেন যাহা ।
নবীজীর পাক সিনাতে, ত্রিগতের কেন্দ্র হয় ॥
সে কেন্দ্রের কর্মের ফলে, জগত শাসন চলে ।
গাউস কুতুবের হাতে, সকল কর্ম ন্যস্ত রয় ॥
মৌলভী-মাওলানাগণ, মুসল্লী মোত্তাকী জন ।
হাত তুলিয়া দোয়া মাগে, তাতে কার কিছু নয় ॥
আম্বিয়া-আউলিয়া যাঁরা, আদমের পুত্র তাঁরা।
যখন যাহা ইচ্ছা করে, আপনা আপনি তেমনি হয় ॥
কে করে রহস্যের ভেদ, না বুঝিয়া ধরে জেদ।
বড়পীর মে চাইলে কিছু বি এ বেটায় কাফের কয় ॥
মাইজভাণ্ডারে নূরের ছটা, এসেছেন আদমের বেটা ।
গাউসুল আযম মওলা আলম, শত সূর্যের দীপ্তময় ॥
জগতগুরু প্রেমকাণ্ডার, ত্রিজগতের কর্ণদ্বার ।
করিম কয় ভজ সবে, মাইজভাণ্ডারীর চরণদ্বয় ॥